২০১৮ সাল থেকে গুজরাটের নীলাংশি প্যাটেল একটি রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন। ১৩ বছর ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে তা মাথাতেই ছিল সবচেয়ে লম্বা চুল। নীলাংশির বয়স যখন ১৬ বছর তখন তার চুল ছিল লম্বায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। তখনই গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠে যায় গুজরাটের এই কিশোরীর।  

আর গত জুলাইয়ে তার বয়স হয় ১৮ বছর। বয়সের সাথে চুলও আরও দীর্ঘ হয় তার। সেবার মেপে দেখা যায় নীলাংশির চুল লম্বায় ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। 

মাত্র ৬ বছর বয়সে চুল কাটা নিয়ে বাজে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল নীলাংশির। সেই থেকে তিনি চুল না কাটার পণ করেছিলেন এবং লম্বা হতে দিয়েছিলেন চুল।  

১২ বছর তিনি সেভাবেই চলেছেন, অর্থাৎ চুল কাটেননি। যার জন্য শেষ পর্যন্ত গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম ওঠে। 

নীলাংশি নিজের এই চুলকে তার জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করতেন। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চুলের যত্ন করে যাওয়ার পর অবশেষে চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ওই কিশোরী। কিন্তু এই চুল দিয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যাশাও করেন তিনি। 

নীলাংশি বলেন, আমার চুল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, এই চুলের জন্য মানুষ আমাকে বাস্তব জীবনের রাপুনজেল বলে। এখন সময় এসেছে আমার প্রতিদান দেওয়ার। 

চুলগুলো নিয়ে নীলাংশির মাথায় মূলত তিনটা চিন্তা এসেছিল। চুলগুলো নিলামে তোলা, কোনো দাতব্য সংস্থায় দান করে দেওয়া অথবা জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া। মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত চুলগুলো জাদুঘরে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। চুলগুলো যাতে অন্য মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, সেই জন্যই তা জাদুঘরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নীলাংশি। 

চুলগুলো কাটার এই সময়টা নীলাংশির জন্য খুবই আবেগপূর্ণ ছিল। কারণ চুলগুলো তার কাছে তার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। 

নীলাংশি বলছেন, আমার অল্প অল্প ভয় লাগছে যে নতুন চুলের স্টাইলে আমাকে কেমন লাগছে আমি জানি না। দেখা যাক কী হয়, আমি তো সবচেয়ে ভালোটাই আশা করছি।  

সূত্র : নিউজ এইটিন। 

এনএফ