দুই বছর আগে পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। তারা ক্ষমতায় এসেই মেয়েদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

তবে ধর্মীয় শিক্ষালয় মাদরাসায় সব বয়সী মেয়েদের পড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত রোজা ওতুনবায়েভা। তিনি নিরাপত্তা পরিষদ ও সাংবাদিকদের বলেছেন, মেয়েরা যে মাদরাসায় পড়তে পারছেন ‘সেটির অনেক অনেক প্রমাণ’ পাওয়া যাচ্ছে।

তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, মাদরাসায় আসলে কি পড়ানো হয়, কোন কারিকুলামে সেখানে পড়ানো হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। এছাড়া স্কুলে কত মেয়ে পড়ছে সেটিরও স্পষ্ট তথ্য নেই।

তালেবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মানসুর আহমেদ বার্তাসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সরকারি মাদরাসায় মেয়েদের বয়সের ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ নেই। যেটি প্রয়োজন সেটি হলো— নির্দিষ্ট বয়স। স্কুলে পড়ার ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট বয়স আছে, মাদরাসায় সেই একই নিয়ম আছে।

তিনি বলেছেন, ‘যদি ক্লাসের সঙ্গে বয়স না যায় এবং বয়স অনেক বেশি হয়, তখন তাকে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয় না। স্কুলে যেমন নিয়ম আছে মাদরাসায় সেই একই নিয়ম আছে। জুনিয়স ক্লাসে বেশি বয়সী মেয়েদের পড়তে দেওয়া হয় না। কিন্তু বেসরকারি মাদরাসায় বয়সের ক্ষেত্রে সীমা নেই। সেখানে প্রাপ্ত বয়স্কসহ সব বয়সীরাই পড়তে পারে।’

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ হাজার মাদরাসা রয়েছে। যার মধ্যে ১৩ হাজারটি সরকারি। বেসরকারি মাদরাসাগুলো মসজিদ ও বাসা-বাড়ির বাইরে।

আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী নিদা মোহাম্মদ নাদিম গত বছরের ডিসেম্বরে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ মেলামেশা ঠেকাতে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ জরুরি ছিল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামের নীতির বিরুদ্ধে যায় এমন বিষয় ছিল। যে কারণে সেখানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: তোলো নিউজ

এমটিআই