দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় আরও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশটির মেডেলিন এবং কুইবডো শহরে একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহর দুটির মাঝে সংযোগকারী সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার সড়কের একটি এলাকায় অনেকে যানবাহন থামিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভূমিধসের কারণে ওই সড়কে কিছু যানবাহন চাপা পড়েছে। স্থানীয় মেয়র বলেছেন, ধ্বংসস্তূপে এখনও কিছু মানুষ আটকা আছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানা ঘেঁষে থাকা চোকো প্রদেশের এলাকায় ঘন বনভূমি রয়েছে। ওই প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সড়কে ভূমিধসে চাপা পড়া অনেক গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু গাড়ি কাদা ও পাথরে চাপা পড়েছে।

চোকোর গভর্নরের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কারমেন ডি আত্রাতো পৌরসভার কাছের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনেকে রাস্তায় তাদের যানবাহন রেখে চলে গেছেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত সেখানেও ভূমিধস হয়েছে। এতে তারাও মাটির নিচে চাপা পড়েছেন। 

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো প্রোতো চোকো অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ বলেছেন, ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

কারমেন ডি আত্রাতোর মেয়র জেইম হেরেরা স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর এবং অন্যরা এখনও মাটির নিচে চাপা পড়েছেন। তবে ঠিক কতজন মাটির নিচে চাপা পড়েছেন তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।

দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে বর্তমানে খরা মৌসুম চলছে। তবে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আমাজন বনের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির জলবায়ু, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিদ্যা সংস্থা।

এসএস