দক্ষিণ কোরিয়ার গান, নাটক ও ছবির ভিডিও দেখা এবং অন্যদের দেখতে উদ্বুদ্ধ করায় উত্তর কোরিয়ায় ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোরকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।

সম্প্রতি ওই দুই কিশোরকে দণ্ড দেওয়ার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি ২০২২ সালের। কারণ ভিডিওতে যারা রয়েছে তাদের সবার মুখেই মাস্ক রয়েছে। ওই সময় উত্তর কোরিয়ায় করোনা বিধি হিসেবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

ভিডিওটি প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা সাউথ অ্যান্ড নর্থ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (স্যান্ড)। সংস্থাটি উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা সাধারণ মানুষকে সহায়তা করে থাকে।

তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

উত্তর কোরিয়ায় যেসব নাগরিক— দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন উপভোগ বা দক্ষিণ কোরিয়ানদের মতো কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০২০ সালে এ সংক্রান্ত একটি কঠোর আইন পাস করা হয়।

বেসরকারি সংস্থা স্যান্ডের সভাপতি চোই কোয়ং বলেছেন, ‘এত কঠিন শাস্তি দেওয়ার দিকটি বিবেচনা করে, মনে হচ্ছে ভিডিওটি করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ানদের সতর্ক করতে। যদি এটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায় উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির প্রচরণ রয়েছে।’

স্যান্ডের সভাপতি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি ভিডিওটি ২০২২ সালে এডিট করা হয়েছে। কিম জং উনের জন্য যেটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন এনেছে। কিম তাদের উত্তর কোরিয়ার চিন্তা ভাবনায় ফেরানোর চেষ্টা করছেন।’

ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত স্থানে দুই কিশোর দাঁড়িয়ে আছে। পেছনে গ্যালারিতে বসে আছে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। ওই সময় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে ১২ বছরের সশস্ত্র কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর কিশোরদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই