এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নতুন সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া (ফাইল ছবি)

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ বাড়ছেই। এর মধ্যেই নতুন উত্তেজনাকর পদক্ষেপে উত্তর কোরিয়া একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে দেশটি তার পশ্চিম উপকূলের দিকে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আরও অবনতি ঘটাতে পারে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া বুধবার তার পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের দিকে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে।

জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় নিক্ষেপ করা হয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন গোয়েন্দারা এখন এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ বিশ্লেষণ করছে। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর উত্তর কোরিয়ার আরও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জেসিএস জানিয়েছে।

রয়টার্স বলছে, পিয়ংইয়ং এমন এক সময়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর বিশেষ ওয়ারফেয়ার ইউনিট ১০ দিনব্যাপী উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্যাংওয়ান প্রদেশের পূর্ব উপকূলে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে।

জেসিএস বলেছে, বিতর্কিত সামুদ্রিক সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক আর্টিলারি গোলাবর্ষণ এবং অস্ত্র পরীক্ষার পর অপারেশনাল প্রস্তুতি জোরদার করাই ছিল এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।

এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নতুন সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। এই পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনও ধরনের নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করেনি বলেও সেসময় দাবি করে দেশটি।

তবে উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের সেসময় কঠোর নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে পিয়ংইয়ং তার প্রথম সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে এবং এরপর থেকে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পর ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার বিরুদ্ধে নিজেদের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিমাপ করতে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা।

এছাড়া চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে তার দেশের প্রতি ‘সবচেয়ে শত্রুতাপূর্ণ’ রাষ্ট্র হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার সময় এসেছে। এর আগে গত মাসে দলীয় বৈঠকে কিম বলেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন অসম্ভব।

সেসময় তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার সরকার ‘নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন’ আনবে।

টিএম