আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুল কবির বলেছেন, বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেতে ইসলাম ও জনগণের অধিকার নিয়ে তারা কোনো ধরনের আপস করবেন না।

খোস্ত প্রদেশে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মুরব্বিদের নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন মৌলভি আব্দুল কবির। এছাড়া তিনি জানান কোনো দেশের সঙ্গেই আফগানিস্তান উত্তেজনা চায় না।

তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে ইসলামিক নীতি এবং ইসলামিক সরকার নিয়ে কোনো আপস করতে পারব না। কারণ আমরা এই সরকারের জন্য আত্মদান করেছি।’

আফগান প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে আরও জানান, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের নামে পূর্বের সরকারের কোনো সদস্যকে তাদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

তিনি বলেন, ‘বিদেশি ভাড়াটে বাহিনী, চোর, লুটেরাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে যুক্ত করতে হবে, বিদেশিরা বলছে এটিই হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার। ইসলামিক আমিরাত সরকার বা আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ এটি কখনোই সহ্য করবে না।’

এরমধ্যে আফগানিস্তানের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোহাম্মদ খালিদ হানাফিও বলেছেন, ‘আমরা বাধ্য নই— কোনো দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিক বা না দিক। কিন্তু আমাদের সরকারের ইসলামিক শাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাধ্য।’

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন দখলদার সামরিক জোটকে হটিয়ে ও পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর দেশটিতে সরকার প্রতিষ্ঠা করে তারা।

তবে তালেবান ক্ষমতায় এসে নারীদের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, যদি তালেবান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করে এবং নারীদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয় তাহলে তাদেরকে স্বীকৃতি দেবে।

তবে তালেবান মনে করে, আগে যেসব ব্যক্তি সরকার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন; তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন এবং দেশের সম্পত্তি লুট করেছিলেন। ফলে তাদের সরকারে অন্তর্ভুক্তিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান।

সূত্র: তোলো নিউজ

এমটিআই