গত সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র জিরকন ছুড়েছে রুশ বাহিনী। গত দুই বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনে এই প্রথম এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল রুশ কমান্ড।

কিয়েভের বিজ্ঞাণ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র কিয়েভ সাইন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ফরেনসিক এক্সামিনেশন বিভাগের পরিচালক ওলেক্সান্দর রুভিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। টেলিগ্রাম পোস্টে রুভিন বলেন, ‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। যে এলাকায় সেটি ছোড়া হয়েছিল, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আমরা পরীক্ষা করেছি। সেই পরীক্ষার ফলাফল বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ৩এম২২ জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র।’

এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্বের অত্যাধুনিক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ৩এম২২ জিরকন অন্যতম। শব্দের চেয়ে ৯ গুণ গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০২২ সালে প্রথমবার ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল মস্কো।

সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩এম২২ জিরকনকে ‘নতুন প্রজন্মের সমরাস্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাতাসে শব্দের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩৪৩ কিলোমিটার আর ৩এম২২জিরকন শব্দের চেয়ে ৯ গুণ গতিসম্পন্ন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩ হাজার ৮৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম।

টেলিগ্রাম পোস্টে ওলেক্সান্দর রুভিন বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বিধ্বংসী দিকটি হলো এটির গতিবেগ। যে গতিতে জিরকন ৩এম২২ আঘাত হানে, বর্তমান সময়ের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার পক্ষেও এটিকে শনাক্ত করে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।’

গত ৭ তারিখে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৫ জন। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাসভবন ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই হামলায়।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ