আমিষসমৃদ্ধ চাল ‘মিটি রাইস’ উদ্ভাবন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এই হাইব্রিড চাল জলবায়ুর পরিবর্তন না ঘটিয়েই মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা রাখে।

গোলাপি রঙের এই চালের প্রস্তুত সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হয়েছে গবেষণাগারে। সেখানেই বিশেষ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় চালের ভেতর গরুর পেশীর মাংস ও চর্বির কোষ প্রবেশ করিয়ে এটাকে প্রোটিনসমৃদ্ধ করা হয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই প্রবন্ধের সহ-লেখক ও ‘মিটি রাইস’ উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী দলের সদস্য পার্ক সো-হায়ন বলেন, ‘চাল এমনিতেই একটি উচ্চমাত্রার পুষ্টিকর খাবার। গরুর মাংসের কোষ প্রবেশ করিয়ে এই বিশেষ চালটিকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে, যখন এই চাল থেকেই মানুষ তার অধিকাংশ পুষ্টি উপাদান পাবে।’

‘পরিবেশবান্ধব এই চাল যদি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়, তাহলে একদিকে যেমন এটা মাংসের টেকসই বিকল্প হবে, তেমনি অন্যদিকে কার্বন নিঃস্বরণ হ্রাসেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

সাধারণ চালের তুলনায় নতুন এই ‘মিটি রাইসে’ প্রোটিনের পরিমাণ ৮ শতাংশ এবং ফ্যাটের পরিমাণ ৭ শতাংশ বেশি। গরুর মাংসের কোষগুলো যেন চালের সঙ্গে মিশে থাকতে পারে, সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছে মাছের জেলাটিনের প্রলেপ।

পার্ক সো-হায়ন জানান, প্রতি ১০০ গ্রাম মিটি রাইসের উৎপাদন বাতাসে ৬ দশমিক ২৭ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড যোগ করে। আর প্রতি একশ গ্রাম গরুর মাংসের উৎপাদন বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড যোগ করে এর থেকে আটগুণ বেশি।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ