ফুটবল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনায় গত জানুয়ারিতে দারিদ্র্যের হার পৌঁছেছে ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশে। গত ২০ বছরে মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে দারিদ্র্যের হার কখনও এই পর্যায়ে ওঠেনি।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সার্বিক অর্থনীতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আর্জেন্টিনা (ইউসিএ)। সেই প্রতিবেদনে ডলারের বিপরীতে আর্জেন্টাইন মুদ্রা পেসোর মূল্য ভয়াবহভাবে নেমে যাওয়াকে দারিদ্র্যের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় এক মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ৮৩৫ আর্জেন্টাইন পেসো। প্রতিবেদনে ইউসিএ জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ের মিলি ক্ষমতা গ্রহণের পর মাত্র এক মাসে ডলারের বিপরীতে পেসোর মান হ্রাস পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

মিলি নিজেও ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি ইসিএ’র প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ প্রসঙ্গে এক পোস্টে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাস্তব সত্য হলো, এই মুহূর্তে প্রতি ১০ জন আর্জেন্টাইনের মধ্যে ৬ জনই দরিদ্র।’

জেভিয়ের মিলি ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর আগেই থেকেই অবশ্য আর্জেন্টিনার সংকট শুরু হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে যখন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন সে সময় দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জাতীয় অর্থনীতিকে ‘ডলারাইজ’ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মিলি। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার পদক্ষেপও নেওয়া হয়, তবে সেসব পদক্ষেপ সংকট মোচনে কতখানি কার্যকর হবে— তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। কারণ গত এক মাসেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

ফলে একদিকে যেমন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে, তেমনি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও যাতায়াত ব্যয়। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে দেশটির জনগণের।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ