শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক হয়ে নাথু লা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। প্রথম পর্যায়ে চলবে রংপো পর্যন্ত

ভারতের রেল মানচিত্রে ঢুকে পড়ছে সিকিম। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে ট্রেন যাবে নাথু লা পর্যন্ত। তবে প্রথম পর্যায়ে চলবে শিলিগুড়ি থেকে রংপো পর্যন্ত। সেখানে কাজ শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার ভার্চুয়ালি সিকিমের রংপো স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি সোমবার ভারতের মোট দুই হাজার রেল প্রকল্পের উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

যা মোট ৪১ হাজার কোটি রুপির প্রকল্প। এই সব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো সিকিমে রেলের প্রবেশ।

রেলকর্তা অমরজিত আগরওয়াল বলেছেন, ‘পর্যটন ও দেশের সুরক্ষার দিক থেকে রংপো স্টেশনের আলাদা গুরুত্ব আছে। এতদিন পর্যন্ত সিকিমে রেলের প্রবেশ ঘটেনি। এবার ঘটতে চলেছে। তিনটি পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। প্রথম পর্যায় হলো, শিলিগুড়ি থেকে রংপো। দ্বিতীয় পর্যায়ে রংপো থেকে গ্যাংটক। তৃতীয় পর্যায় হলো গ্যাংটক থেকে নাথু লা।’

প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মোহিন্দর সিং জানিয়েছেন, ‘সেবক থেকে রংপোর দূরত্ব হলো ৪৫ কিলোমিটার। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বন্যা, ধসের ফলে এখন ঠিক হয়েছে ২০২৫ সালে তা শেষ হবে। এই ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ৪১ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে এবং সাড়ে তিন কিলোমিটার সিকিমে।’

মোহিন্দর বলেছেন, ‘এই ৪৫ কিলোমিটার যাত্রাপথে ১৫টি টানেল রয়েছে, ১৩টি বড় ব্রিজ, নয়টি ছোট ব্রিজ আছে। আগামী মাস থেকে লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘টানেলের কাজটা ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। এখানে পাথর খুব শক্ত নয়। এক মাসে আমরা ১৫ মিটার টানেল তৈরি করতে পেরেছি। এর মধ্যে তিস্তাবাজার আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন হবে। এই প্ল্যাটফর্ম লম্বায় ৬২০ মিটার হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে পূর্ণ দৈর্ঘের ট্রেন দাঁড়াতে পারবে। এছাড়া ছয়টি এমার্জেন্সি টানেলও থাকবে। ভারতীয় রেলের ব্রডগেজ লাইনে এটাই হবে প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড বা মাটির তলার স্টেশন।’

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন চীন সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা ও রেললাইন তৈরি করছে। নাথু লা পর্যন্ত রেলপথের সম্প্রসারণ সেদিক থেকে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এর ফলে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই সেনাবাহিনীও দ্রুত নাথু লা-তে পৌঁছে যাবে।

টিএম