ধর্মঘটে যাওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের তথ্য নিতে হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত মাসে চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় যারা মার্চের শুরুতে হাসপাতালে যোগ দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর অংশ হিসেবে সোমবার (৪ মার্চ) থেকে হাসপাতালে হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যারা এখনো হাসপাতালে ফেরেননি তাদের ব্যপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

চিকিৎসকদের সংকট কাটাতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এরপরই আন্দোলনে নামে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, বেশি শিক্ষার্থীদের মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ দিলে চিকিৎসার মান কমে যাবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ হাজারের বেশি বা মোট চিকিৎসকদের ৭০ শতাংশ এই কর্মবিরতি বা ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে। এতে করে অনেক অস্ত্রোপচার বাতিল হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।

সরকার হুমকি দিয়েছিল, যেসব চিকিৎসক মার্চের শুরুতে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং আইনগত ব্যবস্থা; এমনকি চিকিৎসক সনদ বাতিল করে দেওয়া হবে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী চো কোয়ো-হোং সোমবার সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “আজ থেকে আমরা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছি, যেসব চিকিৎসক কর্মক্ষেত্রে ফেরেননি তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

“মনে রাখবেন যেসব চিকিৎসক ফেরেননি তারা তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে গুরুতর সমস্যার সম্মুখিন হবেন।” যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তবে যেসব চিকিৎসক কাজে যোগ দেবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সেটি বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পরবর্তীতেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী পার্ক মিন-সো জানান, ৭ হাজার ইন্টার্ন চিকিৎসকের সনদ বাতিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বিগ্নতা কাজ করছে।

লি জায়ে-জি নামের ৩৭ বছর বয়সী রেনাল ডায়ালসিস রোগী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাহলে তিনি কি করবেন এ বিষয়টি ভেবে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেছেন, “যদি আমার কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় কি হবে, আমি খুবই চিন্তিত, কারণ বর্তমানে কোনো চিকিৎসক নেই।”

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই