ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং শরণার্থীবোঝাই রাবারের তৈরি একটি নৌকা ডুবে গেছে। এক উদ্ধারকারী সংস্থা এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এ নৌকাডুবির ঘটনায় কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ। খবর আল-জাজিরার।

ইউরোপভিত্তিক বেসরকারি উদ্ধারকারী সংস্থা এসওএস মেডিটারানি বলেছে, রাবারের তৈরি নৌকাটিতে ১৩০ জন যাত্রী ছিল। লিবিয়া উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এরকম চরম দুর্দশার মুখে পড়া তিনটি নৌকার উপস্থিতির ব্যাপারে তাদেরকে গত বুধবার জানানো হয়।
 
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী ‍তিনটি নৌযানের চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ার খবর শোনার পর এসওএস মেডিটারানি ভাড়ায় চালিত তিনটি জাহাজ ছাড়াও তাদের ‘ওশান ভাইকিং’ জাহাজ নিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই দুর্ঘনাস্থল অভিমুখে রওনা হয়।

ওশান ভাইকিংয়ে উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া লুইসা আলবেরা বলেন, ‘আজ যখন আমরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালাম তখন সেখানে জীবিত কাউকে আর দেখতে পাইনি। জাহাজডুবির স্থলে অন্তত ১০টি মরদেহ দেখতে পাই। এ ঘটনায় আমরা ভীষণ মর্মাহত।’   

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চিফ অব স্টাফ ইউজেনিও আমব্রোসি বলেন, ভূমধ্যসাগরের মাঝামাঝি হওয়া এই নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে একশ জনের প্রাণহানি হয়েছে।  

তিনি টুইটারে লেখেন, ‘এগুলো বিশ্বের নেওয়া নীতিগুলোর অমানবিক পরিণতি; যা কোনোভাবে আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে না।’

এসওএস মেডিটারানির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর বিস্তীর্ণ এ সাগরে ইতোমধ্যে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণ হারানোদের নাম তাদের এই পরিসংখ্যানে অবশ্য যুক্ত করা হয়নি।

আফ্রিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রায়ই এমন নৌকাডুবি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ইউরোপের উদ্দেশে আফ্রিকা থেকে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ২০১৪ সাল থেকে বিশ হাজারের বেশি মানুষ এভাবে প্রাণ হারিয়েছেন।   

এএস/জেএস