ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে হড়কা বান ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১০ জন। শনিবার সুমাত্রা দ্বীপের সরকারি এক কর্মকর্তা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পেসিসির সেলাতান রিজেন্সি এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে হড়কা বান ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেখানকার প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে পেসিসির সেলাতান এলাকা থেকে দশ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পেসিসির সেলাতানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডনি ইউসরিজাল বলেছেন, সুতেরা জেলার লাংগাই গ্রামে দুজনের ও কোটো ইলেভেন তরুসান জেলায় সাতজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া লেঙ্গায়াং থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ডনি বলেছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সুমাত্রার এই কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে সেলাতানের আবহাওয়া বৃষ্টিস্নাত রয়েছে। সেখানকার কিছু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যে কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু এলাকায় বন্যায় আটকা পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভূমিধসের কারণে অন্তত ১৪টি বাড়ি চাপা পড়েছে। বন্যায় ওই এলাকার ২০ হাজারেরও বেশি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং আটটি সেতু ভেঙে পড়েছে।

এদিতে, পাদাং প্যারিয়ামান রিজেন্সির স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম সুমাত্রার পাদাংয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারি বর্ষণ হয়েছে। এর ফলে সেখানকার নদ-নদী উপচে লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ওই এলাকায় কমপক্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় প্রত্যেক বছরেই বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটির কিছু এলাকায় বন উজাড়ের ফলে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মুষলধারে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এই দ্বীপপুঞ্জের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

এর আগে, গত ডিসেম্বরে সুমাত্রার তোবা হ্রদের কাছে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক ডজন বাড়ি ভেসে যায় এবং একটি হোটেল ধসে পড়ে অন্তত দুজন নিহত হন।

সূত্র: এএফপি।

এসএস