এর আগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে নতুন সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া (ফাইল ছবি)

আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। গত দুই মাসের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দেশটি, সেটিও আবার এমন এক সময়ে যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে সফর করছেন।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই মাসের মধ্যে সোমবার প্রথমবারের মতো সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন গণতন্ত্রের অগ্রগতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সিউল সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণে একটি অঞ্চল থেকে একাধিক স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। নিক্ষেপের পর সেসব ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব দিকে গিয়ে পড়ে।

অবশ্য পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আরও বিশদ কোনও তথ্য প্রদান করেনি। তবে তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সাথে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের তথ্য শেয়ার করছে তারা।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি জাপানের উপকূলরক্ষীরাও শনাক্ত করে। পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই মিসাইল উৎক্ষেপণের নিন্দা জানান।

জাপানের কোস্টগার্ড বলছে, উৎক্ষেপণকৃত মিসাইলটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে হয়েছে।

জাপান পরে জানায়, তারা উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টিও শনাক্ত করেছে এবং উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই দেশটির এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন এলাকার বাইরে পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ আমাদের অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’

টিএম