ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হবে অলিম্পিক। সর্বশেষ অলিম্পিকের আসর বসেছিল ২০২১ সালে জাপানে। তবে ওই সময় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় অলিম্পিক ভিলেজে থাকা অ্যাথলেটদের অন্তরঙ্গ হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবারের প্যারিস অলিম্পিকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) এমন তথ্য জানান অলিম্পিক ভিলেজ পরিচালক লরেন্ট মিকাউদ। এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, অলিম্পিক ভিলেজে যে ১৪ হাজার ২৫০ অ্যাথলেট থাকবেন তাদের মধ্যে তিন লাখ কনডম বিতরণ করা হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লরেন্ট মিকাউদ বলেছেন, “এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুত্বপূর্ণ এবং প্রানোচ্ছল থাকা এখানে খুবই বড় বিষয়।”

তিনি আরও বলেছেন, “আমরা অ্যাথলেট কমিশনের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এমন কিছু জায়গা তৈরি করতে চাইছি যেখানে অ্যাথলেটরা উদ্যমী ও সুখী অনুভব করবেন।”

জাপানে ২০২০ সালে অলিম্পিক হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে এটি ২০২১ সালে হয়। ওই সময় অ্যাথলেটদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল যৌন সম্পর্কও। করোনা ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য অ্যাথলেটদের একে-অপরের থেকে অন্তত ছয় ফুট দূরে থাকতেও বলা হয়।

অলিম্পিক ভিলেজে অ্যাথলেটরা অন্তরঙ্গ হতে পারলেও তারা সেখানে কোনো ধরনের শ্যাম্পেন নিতে পারবেন না। তবে প্যারিস শহরে যে কোনো জায়গায় তারা শ্যাম্পেন উপভোগ করতে পারবেন।

অলিম্পিকে কনডম বিতরণ করা একটি প্রথাতে পরিণত হয়েছে। ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিক থেকে অ্যাথলেটদের গর্ভনিরোধক দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। মূলত এইচআইভি এবং এইডস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকি ২০২০ আসরেও ১ লাখ ৫০ হাজার কনডম বিতরণ করা হয়েছিল।

সূত্র: স্কাই নিউজ

এমটিআই