যুদ্ধ জর্জরিত গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই ট্রাজেডি ঘটেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয় গাজার উত্তরাঞ্চলে ভূমধ্যসাগর তীরের কাছে। এ সময় ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে নিহত হন ১২ জন এবং সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান আরও ৬ জন।

বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা বন্ধ করুন। তার পরিবর্তে সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে যসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেসব দূর করতে পদক্ষেপ নিন।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চলানোর পর ওই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি বাহিনীর গত ছয় মাসের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ।

অন্যদিকে ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ সেনা। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন হামাস যোদ্ধারা তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে ১০৮ জনকে।

প্রায় ২২ লাখ মানুষ অধ্যুষিত গাজা উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও গোষ্ঠীগুলোর ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। উপত্যকায় অভিযান শুরুর সময় থেকে সেখানে ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, ফলে খাদ্যের অভাবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

এই পরিস্থিতিতে ওই মাস থেকেই আকাশ পথে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা বিশ্ব।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ