পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পরিচালিত গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিচারপতি ও তাদের আত্মীয়দের অপহরণ-নির্যাতনের হুমকি এবং শয়নকক্ষের ভেতর গোপন ভিডিও নজরদারির ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

রাজধানী ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বিচারপতিরা চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো বিরল এক চিঠিতে এই অভিযোগ করেছেন।

চিঠিতে আইএসআইকে ‘নির্দিষ্ট ফলাফলের জন্য’ বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করার জন্য দোষারোপ করা হয়েছে এবং এই সংকট নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আটজন বিচারপতির ছয় জন চিঠিতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠি পাওয়ার পর এ ইস্যুতে আলোচনার জন্য বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা।

এই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভয়েস অফ আমেরিকার সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

ইমরান খানের মামলায় 'হস্তক্ষেপ'

এই চিঠিতে বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আইএসআই কর্মকর্তারা জোর-জবরদস্তি ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মামলাসহ বিভিন্ন মামলার ফলাফল প্রভাবিত করার’ চেষ্টা করেছে।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্র-সমর্থিত একটি মামলার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, “আইএসআই’র অপারেটিভরা বিচারকদের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছিল।”

এতে বলা হয়, বিচারকরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আশঙ্কা থেকে তাদের বাড়ির জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা চেয়েছিলেন।

চিঠিটি পাকিস্তানের বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগের ফলে আইনজীবীদের সংগঠন, ইমরান খানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই এবং স্বাধীন সমালোচকরা একটি স্বাধীন তদন্ত এবং জড়িতদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে বিচার বিভাগের কাজে আইএসআই কর্মীদের হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার জন্য তারা বিচারকদের প্রশংসাও করেছেন তারা।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

এসএমডব্লিউ