ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশক চলছে। এই সময়ে সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত মসজিদে নববীতে অনেকেই ইতিকাফ করে থাকেন। চলতি বছর ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম এই স্থানে ইতিকাফ করছেন প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মুসল্লি।

তাদেরকে খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা-সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে নববীতে ইতিকাফ বা নির্জনতায় ইবাদত পালনকারী মুসলমানদের জন্য চিকিৎসা সেবা, খাদ্য ও নিরাপত্তা-সহ একগুচ্ছ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য প্রফেট’স মস্ক অ্যাফেয়ার্স ইতিকাফ পালনকারীদের জন্য ইফতার ও সেহেরির খাবারের পাশাপাশি মসজিদে প্রবেশের জন্য ব্রেসলেটসহ অন্যান্য পরিষেবা এবং মোবাইল ফোন চার্জার প্রদান করছে।

এছাড়া পুরুষ ও নারী ইতিকাফ পালনকারীদের জন্য আলাদা জায়গাও বরাদ্দ করা হয়েছে।

ইতিকাফের অর্থ হলো- নবী মোহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে একজন মুসলমান শুধুমাত্র ইবাদত করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করেন।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ পালন করতে হয়। চলতি বছর গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে এবং এই বছর পবিত্র এই মাসটি আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য প্রফেট’স মস্ক অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, চলতি বছর ৭০০ জন নারীসহ প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মুসল্লিকে মসজিদে নববীতে ইতিকাফ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ইতিকাফ এলাকা সুরক্ষিত করার এবং এই ইবাদত পালনকারীদের সেখানে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত গেটগুলোতে পারমিট চেক করার জন্য একটি অনুমোদিত নিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর রমজানে ইতিকাফের জন্য মসজিদুল হারাম ও নববীতে আগমন করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলামানেরা। 

শরীয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিছিন্ন হয়ে বিশেষ সময়ে ও বিশেষ নিয়মে আল্লাহর ইবাদতের নিয়তে নিজেকে আবদ্ধ রাখাকে ইতিকাফ বলে।

রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। প্রতি বছর রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফে অধিক সওয়াব লাভের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ছুটে যান ইসলামের কেন্দ্রস্থল মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে।

টিএম