ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালানো হলে ইসরায়েলকে ‘বিপজ্জনক পরিণতির’ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে মিসর, ফ্রান্স ও জর্ডান। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই তিন দেশের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে হামলার বিষয়ে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যৌথ ওই বিবৃতিতে তারা ইসরায়েলকে ‘অবিলম্বে’ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে মিসর, ফ্রান্স ও জর্ডানের নেতাদের এই হুঁশিয়ারির বিবৃতিটি বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী পত্রিকায় বেশ ফলাও করে ছাপা হয়েছে।

তারা বলেছেন, ‘আমরা রাফাহতে অভিযানের বিরদ্ধে ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেছি, রাফাহতে হামলার পরিণতি হবে বিপজ্জনক। কারণ, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকার ১৫ লাখ বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।’

তারা আরও বলেছেন, এ ধরনের অভিযান ‘শুধুমাত্র আরও মৃত্যু ও দুর্ভোগ বয়ে আনবে’ এবং ‘আঞ্চলিক উত্তেজনাকে হুমকির দিকে ঠেলে দিবে।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, রাফাহতে আক্রমণের জন্য আমরা দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছি। নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাফাহতে যে কোনও ধরনের হামলার বিরোধী। কারণ, সেখানে ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

একই সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বন্দিদের বিষয়ে হামাসের সঙ্গে চুক্তির জন্য এখনই সঠিক সময়।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন তার মন্তব্য সামনে এলো।

এছাড়া হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রস্তাব হামাসের দাবি পূরণ করেনি। তবে ইসরায়েলের প্রস্তাবটি পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

টিএম