ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাবে মন্দাভাব শুরু হয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে। অপরিশোধিত তেলের দুই বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ড ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) উভয়ের দাম শতকরা হিসেবে কমেছে ১ শতাংশ বা তারও বেশি।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সোমবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্টক্রুড বিক্রি হচ্ছে  ৮৯ দশমিক ৪৬ ডলারে। শতকরা হিসেবে এই দাম গতকাল রোববারের তুলনায় ১ শতাংশ কম।

আর প্রতি লিটার ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৮৪ দশমিক ৬১ ডলারে, যা আগের দিন রোববারের তুলনায় শতকরা হিসেবে ১ দশমিক ২ শতাংশ কম।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বোমা হামলার প্রতিশোধ নিতে গত শনিবার রাতে ও রোববার সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩ শ’রও বেশি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এই হামলার মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পরে বড় আকারের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের বৃহত্তম যোগান আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। তাই অঞ্চলে অস্থিরতা শুরু হলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ রুটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ফলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং সেই অস্থিতিশীলতার প্রাথমিক লক্ষণ হলো সোমবারের মন্দাভাব।

প্রসঙ্গত, অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ইরান গুরুত্বপূর্ণ বিক্রেতা দেশ। জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও বিপননকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের অন্যতম এই সদস্যরাষ্ট্র নিজেদের খনিগুলো থেকে প্রতিদিন কম-বেশি ৩০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করে।

জ্বালানি পণ্যের বাজার বিশ্লেষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যানার্জি আসপেক্টসের কর্মকর্তা অমৃতা সেন বলেন, ‘যদি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না কমে, তাহলে তার প্রভাব বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে পড়বে— তা খুবই স্বাভাবিক…এবং এই প্রভাবের মাত্রা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়েও অনেক বড় হবে।’

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ