এপ্রিলের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গের জেলা শহর পুরুলিয়া। গরমে মানুষের পাশাপাশি কষ্ট হচ্ছে পশুপাখিদেরও। তাই প্রখর রোদেও বন্যপ্রাণীদের স্বস্তি দিতে কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের সুরুলিয়া মিনি চিড়িয়াখানার প্রাণীদের তীব্র গরমেও সবল ও সুস্থ রাখতে জলকেলির জন্য জলাশয় তৈরি করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে মাথার উপরভ অস্থায়ী সবুজ ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ নিয়ে পুরুলিয়া ও কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের কর্তা অঞ্জন গুহ বলেন, চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণিদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেটা আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেখছি। সবকিছুকে মাথায় রেখেই এই গরম মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি।

চলতি বছরে এপ্রিলের শুরুতেই এই পুরিলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মাঝামাঝিতে কমে সোমবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শরীরে যাতে তাপ না বেড়ে যায় তার জন্য হরিণের জন্য তৈরি করা হয়েছে জলাশয়।

হরিণ যাতে খাঁচার মধ্যে এই প্রখর দাবদাহেও অবাধে বিচরণ করতে পারে তার জন্য মাথার উপরে দেওয়া হয়েছে এগ্রো নেট। একইভাবে মাংসাশী প্রাণীদের জন্যও করা হয়েছে বিশেষ ছাউনির ব্যবস্থা।

এছাড়া আগে থেকেই হরিণের জন্য মাথার উপর খড়ের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে আছে একটি স্থায়ী ছাউনিও। চৌবাচ্চায় সব সময় ঠান্ডা জল রাখা হচ্ছে যাতে হরিণের দল এখানে পানি খেতে পারে। বানর ও পাখির জন্য স্নান করানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। খাবারে আনা হয়েছে বিচিত্রতা।

প্রাণীরা সাধারণত যা খাবার খায় তার ৭০ থেকে ৫০ শতাংশ কম খাবার দেওয়া হচ্ছে। যাতে পেট গরম না হয়। সেই সঙ্গে খাবার জলে থাকছে গ্লুকোজ। হরিণকে বেশি করে খাওয়ানো হচ্ছে শসা, কচি পাতা। ভাল্লুককে দেওয়া হচ্ছে তরমুজ। খাবারে পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে।

পিএইচ