পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে অজ্ঞাত বন্দুুকধারীদের পৃথক হামলায় দেশটির কাস্টমসের অন্তত সাত কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। রোববার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বন্দুকধারীদের হামলায় কাস্টমসের সাত কর্মকর্তার প্রাণহানির এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর রোববার ওই এলাকায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। পৃথক এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটির পুলিশ বলেছে, তারা এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। সীমান্ত এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানের পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর হামলা হয়েছে। কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি)।

সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার মুহাম্মদ আদনান বলেছেন, কাস্টমসের কর্মকর্তারা তল্লাশির জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ব্যস্ততম এলাকার মহাসড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, তিন দিন আগে একই এলাকায় তল্লাশির সময় কাস্টমসের কর্মকর্তারা আক্রান্ত হন। এ সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত পাঁচ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। গুলি চালানোর পরপরই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সীমান্ত এলাকায় ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তান বলেছে, জঙ্গিরা হামলা চালানোর জন্য আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। এই ধরনের হামলা ঠেকাতে তালেবানকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গত মাসে আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের একটি ঘাঁটিতে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর প্রতিবেশি দুই দেশের মাঝে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়।

তবে জঙ্গিদের আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান। তারা বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা সমস্যা ইসলামাবাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস