নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহতে দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনি মায়ের পেট থেকে জীবিত অবস্থায় বের করা হয়েছে এক মেয়ে শিশুকে। গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে রাফাহতে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। ওই হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি বাড়িতে চালানো হামলায় এই ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ জনই শিশু।

মোহাম্মদ সালামা নামের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে শিশুটি। ১ দশমিক ৪ কেজি ওজনের শিশুটিকে জরুরিভাবে সিজারের মাধ্যমে তার মায়ের পেট থেকে বের করা হয়। তার মা মৃত্যুর সময় ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন।

রাফাহর একটি হাসপাতালে শিশুটিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে একটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। তার কোমরে একটি টেপ বেধে রাখা হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে ‘শহীদ সাবরিন আল-সাকানির সন্তান।’

মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা ও বোনও এই হামলায় নিহত হয়েছে। ফলে এতিম অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে তার।

ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে রুহ নামের এই শিশুটিকে।

শিশুটির চাচা জানিয়েছেন, হামলায় নিহত হওয়া তার বোন মালাক শিশুটির নাম রাখতে চেয়েছিল রুহ। যার বাংলা অর্থ আত্মা। তিনি বলেছেন, “পৃথিবীতে বোন আসছে এজন্য খুব খুশি ছিল মালাক।”

চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি হাসপাতালে তিন থেকে চার সপ্তাহ থাকবে। এরপর কোন আত্মীয়র কাছে সে যাবে সেটি দেখা হবে। যদিও এই শিশুটি বেঁচে গেছে কিন্তু তার জন্ম হয়েছে এতিম অবস্থায়।

এত শিশু ও নারীর প্রাণহানির ব্যাপারে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে তারা দাবি করেছে, রাফাহতে সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে মূলত হামলা হয়েছিল বেসামরিকদের ভবনের ওপর। এতে ১৩টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই