ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদোইয়ে যোগেশ কুমার নামের ৩৬ বছর বয়সী এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার (২৪ এপ্রিল) জানিয়েছে, যোগেশের ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী মণিকর্ণিকা কুমারী গত সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এরপর থেকে শোকে পড়েন তিনি। আর এই শোক সইতে না পেরে মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেন তিনি।

যোগেশ ও মণিকর্ণিকা মাত্র ছয় মাস আগে বিয়ে করেন। মণিকর্ণিকা একজন প্যারামেডিক ছিলেন। অপরদিকে যোগেশ শিক্ষকতা করতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যার আগে যোগেশ একটি নোট রেখে যান। এতে তিনি লিখেছেন, “আমরা একসঙ্গে বাঁচব এবং একসঙ্গে মরব।”

সোমবার সুসরা থানার অধীনস্ত লখনৌ-হারোদোই মহাসড়কে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মণিকর্ণিকা প্রাণ হারান।

সুসরা থাকার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ইন্দ্রেশ কুমার যাদব বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় একটি স্কুটারে করে নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন মণিকর্ণিকা। তখন একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় তিনি স্কুটার থেকে পড়ে যান। এরপর তার মৃত্যু হয়।

আইডি কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার বের করে মণিকর্ণিকার স্বামীকে দুর্ঘটনা ও তার মৃত্যুর ব্যাপারে অবহিত করা হয়।

মণিকর্ণিকার স্বামী যোগেশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং তার স্ত্রীর জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে যান। এরপর বাড়িতে গিয়ে রুমে নিজেকে বদ্ধ করে রাখেন।

এক প্রতিবেশী যোগেশকে শান্তনা দিতে এসে বাড়ির দরজায় নক করেন। কিন্তু তিনি কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন যোগেশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আছেন। এরপর ওই প্রতিবেশী দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নিয়ে যায়।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই