নেদারল্যান্ডসে এক্সিট পোল বলছে, অতি-দক্ষিণপন্থি ফ্রিডম পার্টি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে খুব ভালো ফল করবে। সরকারি ব্রডকাস্টার এনওএস এই এক্সিট পোল করেছে।

সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভোটে অতি-দক্ষিণপন্থি ও বাম ঘেঁষা মধ্যপন্থিরা প্রায় সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

প্রায় ২০ হাজার ডাচ ভোটদাতার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা ফ্রানস টিমারম্যানসের গ্রিন লেবার জোট ও হির্ট ফিলডোর্স-এর ফ্রিডম পার্টির মধ্য়ে কাকে সমর্থন করবেন।

তাতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে গ্রিন লেবার জোট আটটি আসনে জিততে পারে। অতি-দক্ষিণপন্থিরা জিততে পারে সাতটি আসন।

এই এক্সিট পোলের এই পূর্বাভাসের সঙ্গে বাস্তবে খুব বেশি হলে একটি আসনের হেরফের হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭২০টি আসনের মধ্যে নেদারল্যান্ডসে ৩১টি আসন আছে। তারাই প্রথম দেশ, যারা এবার ইউ নির্বাচনে প্রথম ভোট দিচ্ছে।

তবে চূড়ান্ত ফলাফল রোববার সন্ধ্যায় জানা যাবে, যখন ব্লকের অন্য সদস্যরা তাদের ভোট দেবেন।

বিভিন্ন দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন, অতি-দক্ষিণপন্থি দলগুলো মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট পাচ্ছে। তারা কোনো সমাধান মানুষের কাছে রাখছে না।

রক্ষণশীল ইউরোপীয়ান পিপলস পার্টির সভাপতি ম্যানফ্রেড উইবার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দিক থেকে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য তাদের সমস্যা দরকার। সেই সমস্যার সমাধান করার বিষয়ে তাদের কোনো উৎসাহ নেই।’

ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জুরোভা বলেছেন, ‘কোভিড ১৯-এর পর আর্থিক অচলাবস্থা এবং যুদ্ধের পর যে হতাশা দেখা দিয়েছে, সেটিকে অবলম্বন করে অতি-দক্ষিণপন্থিরা ভালো ফল করতে চাইছে। তারা মিথ্যা কথা বলছে। তারা মানুষকে সমস্যার সহজ সমাধানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’

কতজন ভোট দেবেন?

আমস্টারডামে ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি জ্যাক প্যারোক জানিয়েছেন, ‘ভোটের ফল নির্ভর করছে কত মানুষ ভোট দেবেন তার ওপর। পাঁচ বছর আগে নেদারল্যান্ডসে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেছেন, ‘নেদারল্যান্ডসে অতি-দক্ষিণপন্থিদের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ, তারা সম্প্রতি চালু করা কিছু আইনের বিরোধিতা করার কথা বলছে। যেমন নেদারল্যান্ডসের কৃষকরা ইইউর গ্রিন আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

গত কয়েক বছর ধরে এই আইনগুলো চালু হয়েছে। তার ফলে ভোটদাতারা অতি-দক্ষিণপন্থিদের দিকে ঝুঁকছে।’

তার মতে, ‘শহরগুলোতে পরিস্থিতি আলাদা। শহরের মানুষ অন্য বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমস্টারডামে অনেক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত। এই চিন্তা তাদের ভোটে প্রতিফলিত হতে পারে।’

নেদারল্যান্ডস থেকেই ইইউর নির্বাচন শুরু হচ্ছে।

টিএম