পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ভূমিধস জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস; আর এ ‍উপলক্ষ্যে দলের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার সন্ধ্যায় এক টু্ইটবার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষ্যে মমতা দিদিকে অভিনন্দন। রাজ্যের জনগণে আশা-আকাঙ্খা পূরণে রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের সব রকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সেটি মোকবিলায়ও রাজ্য সরকারের পাশে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার।’  

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ থেকে আট দফায় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, শেষ হয় গত ২৯ এপ্রিল। রোববার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের ঘোষিত ফলে দেখা গেছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২১৩ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ৭৭ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিজেপি। বাকি ২ টি আসন পেয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস জোট ও অন্যান্যরা।

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর মোট ৬ টি লোকসভা ও ৫টি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্য ছিল সবচেয়ে বেশি। এবার তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৪৮ শতাংশেরও বেশি।

বিধানসভা ভোটের নিরিখে এ পর্যন্ত সেরা ফল হয়েছিল ২০১৬ সালে। ৪৪.৯১ শতাংশ ভোট পেয়ে ২১১টি আসনে জিতেছিল জোড়াফুল। ভোট শতাংশের পাশাপাশি আসন প্রাপ্তির হিসেবেও এ বারে সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে তারা।

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে ৩৮.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৮৪টি আসন দখল করেছিল তৃণমূল। তবে সে বার তারা লড়েছিল ২২৬টি আসনে। কংগ্রেস-সহ অন্য সহযোগীদের বাকি আসনগুলি ছেড়েছিল।

শতাংশের হিসেবে তৃণমূলের সেরা ফল ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে। আসনসংখ্যা কমে ২২ হলেও ৪৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তার পাঁচ বছর আগে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে জোড়াফুলের প্রার্থীরা ৩৪টি আসনে জিতেছিলেন, মোট ভোট পেয়েছিলেন প্রায় ৩৯.০৫ শতাংশ।

এসএমডব্লিউ