পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শুরু হয়েছে দুটি দলের মধ্যে। দলগুলো হলো রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধীদল বিজেপি। সহিংসতায় নিহতদের সবাই এই দুই দলের কর্মী ছিলেন।

আট দফার নির্বাচন শেষে গত রোববার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। তাতে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরই সহিংসতার সূত্রপাত। নির্বাচন চলাকালেও রাজ্যটিতে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিলো।

বিরোধীদল বিজেপি সহিংসতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। বিজেপিকে হরিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বুধবার টানা তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

তবে দুই দলের মধ্যে সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। এদিকে সহিংসতায় প্রাণহানির পরপরই এ বিষয়ে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। এমনকি তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপিকর্মীদের দোকান লুট করার অভিযোগও তুলেছে ভারতের কেন্দ্র সরকারে ক্ষমতাসীন দলটি।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির তোলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, নির্বাচন পরবর্তী সসিহংতায় বিজেপির কর্মীর হামলায় তাদের ৭ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিকে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূলকর্মীদের হামলায় তাদের ১০ কর্মী মারা গেছে।   

তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসনে জয় পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বসেছে। তবে নির্বাচনের শুরু থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চরম বিরোধ উত্তাপ ছড়িয়েছে। তারই জের ভোটগণনা শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠে। 

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এতো বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃণমূল জিতেছে তারপরেও কেন হিংসা। পুলিশের সামনে আগুন, লুটতরাজ হচ্ছে কিন্তু পুলিশ কিছু বলছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ 

মমতা বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনই আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে। তবুও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যা করার তা আমি দেখবো। আমরা জানি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী অনেক অত্যাচার করেছে। তবুও আমাদের শান্তি বজায় রাখতে হবে।’

এএস