করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে পিতার। নিয়মানুযায়ী চলছিল দাহকার্য। এ সময় হঠাৎ বাবার জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ মারেন মেয়ে। সেখানে উপস্থিত থাকা মানুষজন তাকে টেনে তোলার আগেই পুড়ে গেছে শরীরের বিভিন্ন অংশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের বারমেরে এলাকায়। মঙ্গলবার (৪ মে) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৩ বছরের বৃদ্ধ দামোদরদাস সারদারের মৃত্যু হয়। 

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তার দেহ চিতায় তোলার সময় কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তার তিন মেয়ে। দেহ যখন আগুনে পুড়ছে, তখন হঠাৎ তার ছোট মেয়ে ৩৪ বছরের চন্দ্রা সারদা ঝাঁপিয়ে পড়েন চিতার ওপর।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে টেনে বের করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় যোধপুরের একটি হাসপাতালে। চন্দ্রার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দামোদর দাস সারদার তিন মেয়ে। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে চিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, শুধুমাত্র বড় মেয়ে শেষকৃত্যে যাবেন। কিন্তু ছোট মেয়ে জেদ করায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি যে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, তা আগে থেকে বোঝা যায়নি। তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বের করে নেওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। নইলে আরও খারাপ ঘটনা ঘটত।

এফআর