রোগী ও চিকিৎসক নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎই সেটার একটি চাকা খুলে পড়ে যায় নিচে। বিপদ আঁচ করতে পেরে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করিয়ে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হন পাইলট। বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে ঘটেছে এই ঘটনা। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, একজন রোগী ও একজন চিকিৎসক নিয়ে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল বিমানটি। কিন্তু আকাশে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটিতে দেখা যায় যান্ত্রিক ত্রুটি। কিছুক্ষণ পর বিমানের একটি চাকা খুলে পড়ে যায় মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হবে।

তৎক্ষণাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্তে সফলও হন পাইলট। পরিকল্পনা মতো, মুম্বাই বিমানবন্দরে সেটি জরুরি অবতরণ করে। রোগী, চিকিৎসক ও পাইলটসহ অন্য ক্রুরা সকলেই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চাকা খুলে পড়ে যাওয়ায় অবতরণ খুব সহজ ছিল না। তবে এছাড়া আর কোনো উপায় না থাকায় ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করে বেলি ল্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করেন বিমানের পাইলট। অর্থাৎ বিমানের চাকা ভেতরে না ঢুকিয়েই তাকে মাটিতে নামিয়ে আনা। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়েতে ফোমের ব্যবস্থাও করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

উদ্দেশ্য ছিল, কোনো ভাবেই যেন বিমানটিতে আগুন ধরে না যায়। আর এর মাধ্যমে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় নাগপুর থেকে হায়দরাবাদগামী এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

বিমানের জরুরি অবতরণ নিয়ে বেশ উত্তেজিত ছিলেন পাইলট কেশরী সিংও। তিনি জানান, ‘যখন দেখলাম বিমানটির চাকা খুলে পড়ে গেছে, তখন বুঝেছিলাম নামতে হলে অনেকটা জ্বালানি পোড়াতে হবে। আমি বেলি ল্যান্ডিংয়ের পক্ষে ছিলাম। তবে জানতাম না রানওয়ের কোনও ক্ষতি হবে কিনা। অবশেষে নিরাপদে অবতরণ করতে পেরে ভালো লাগছে।’

টিএম