করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান মহামারির মধ্যে বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। তবে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে এমন দেশ থেকে টিকা নেওয়া ছাড়া কোনো ব্যক্তি সৌদি প্রবেশ করতে চাইলে নিজ খরচে থাকতে হবে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সোমবার (১০ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট জানিয়েছে, আগামী ২০ মে বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অর্থাৎ ২০ মে থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া ছাড়া সৌদিতে পৌঁছানো সকল ভ্রমণকারীকে বাধ্যতামূলক সাতদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেখানে থাকা অবস্থায়ই স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই, এই মর্মে ঘোষিত হলে বাইরে বের হতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে এই কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে। তারাই মূলত হোম কোয়ারেন্টাইনের বিরোধিতা করেছিলেন। এছাড়া সৌদিতে পৌঁছানোর প্রথম ও সপ্তম দিনে ভ্রমণকারীকে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে।

এদিকে সৌদিতে আগত ভ্রমণকারীরা কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করবে তা জানিয়ে সোমবার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন (জিএসিএ)।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ভ্যকসিন না নিয়ে সৌদিতে আসছেন, এমন ভ্রমণকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সেই অর্থ টিকিটের মূল্যের সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া বিমানে উঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর কোভিড নেগেটিভ সনদ (যাত্রার শুরুর ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা আগে) থাকতে হবে।

তবে কয়েক ক্যাটাগরির ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে জিএসিএ। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সৌদি নাগরিক, তাদের বিদেশি স্বামী/ স্ত্রী ও পুত্র-কন্যা এবং গৃহকর্মী। টিকা গ্রহীতা বাসিন্দার সঙ্গে থাকা টিকা না নেওয়া গৃহকর্মীও এর আওতাভুক্ত।

এছাড়া কূটনীতিক, কূটনৈতিক ভিসাধারী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় অতিথি, বিমান ও জাহাজের ক্রুসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরির ব্যক্তিকেও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

টিএম