শিশু জন্ম কমে যাওয়ায় সাত দশক পর চীনে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার সর্বনিম্নে নেমে এসেছে গত দশকে। মঙ্গলবার দেশটির সরকারের প্রকাশিত আদমশুমারিতে ১৯৫০ এর দশকের পর সবচেয়ে কম জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে চীনে বার্ষিক জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ০ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল; যা ২০০০ এবং ২০১০ এর দশকের ০ দশমিক ৫৭ শতাংশের তুলনায় কম।

চীনে প্রতি দশকে একবার এই আদমশুমারি পরিচালিত হয়; যা মূলত গত এপ্রিলে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। চীনাদের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গত বছরের শেষ পর্যন্ত জনগণনার তথ্য সংগ্রহ করেছেন দেশটির প্রায় ৭০ লাখ কর্মী।

আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ এর দশকে এক সন্তান নীতি চালু করার পর শিশু জন্মের হার কমতে শুরু করে চীনে। ২০২০ সালে দেশটির মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা পাঁচ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪১ কোটিতে পৌঁছেছে। জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির এই হার ১৯৫৩ সালে চীনে আধুনিক আদমশুমারি শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে কম।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটির প্রত্যেক নারীর গর্ভধারণের হার এক দশমিক ৩ শতাংশ; যা একই বয়সী জাপানি এবং ইতালির নারীদের কাছাকাছি।

বিবিবি বলছে, ২০১৬ সালে এক সন্তানের নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পর সর্বোচ্চ দুই সন্তানের নীতি ধরে ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ১৪২ কোটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই চীনের এই লক্ষ্যমাত্রা অল্পের জন্য অর্জিত হয়নি; যা আদমশুমারির ফলে দেখা গেছে। 

চাকরি ও স্বাধীনতায় বেশি গুরুত্বারোপ এবং জীবনধারণের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশটির বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মের আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন চীনা বিশ্লেষকরা।

আদমশুমারির তথ্য প্রকাশের পর চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধান নিং জিঝি বলেন, জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে ভবিষ্যতেও যে একই ধরনের ধীরগতি অব্যাহত থাকবে তার আভাস মিলছে। 
 
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

এসএস