অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার; এই দুই কোম্পানি উদ্ভাবিত কোভিড টিকার ডোজ নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথক টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার কারণে বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের হালকা ও মাঝারি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভোগার প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

একই টিকার দুটি ডোজের বদলে পৃথক দুটি টিকার দুই ডোজ নেওয়ায় অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশীতে ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এসব উপসর্গ স্থায়ী হয় না এবং গুরুতর না হওয়ায় এর সুরক্ষা নিয়েও অন্য কোনো উদ্বেগ নেই।  

বিবিসির বৃহস্পতিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের অধ্যাপক ম্যাথিউ স্নাপ বলেছেন, ‘প্রাপ্ত এই তথ্য সত্যিই কৌতুহলোদ্দীপক। গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করিনি।’

ভিন্ন ভিন্ন টিকার ডোজে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা পাওয়া যায় কিনা, তাতে করোনার নতুন ধরন থেকে সুরক্ষা মেলে কিনা এবং টিকা সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ক্লিনিকগুলোকে দুই ধরনের দুই ডোজ টিকা দিতে পারবে কিনা তা জানতে ফেব্রুয়ারিতে কম-কভ নামে গবেষণাটি শুরু হয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব পরিচালিত গবেষণায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮৩০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ভিন্ন ভিন্ন টিকার দুটি ডোজ দিয়ে গবেষণাটি করা হয়। আগামী জুনে এই গবেষণার পুর্নাঙ্গ ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানচেটে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষণার প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে যে, চার সপ্তাহের ব্যবধানে যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাদের প্রতি ১০ জনের একজন টিকা নিয়ে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার টিকার ডোজ নেওয়া প্রতি ১০০ জনে ৩৪ জন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানান।

এএস