পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের দিনে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান প্রদেশে এক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। তবে এতে কোনো হতাহত হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের দক্ষিণের নাজরান প্রদেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো, নাজরান বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থাপনা লক্ষ্য করে হুথির সামরিক শাখা ১২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি-নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বলছে, সৌদি আরবের দিকে ছুটে আসা আটটি ড্রোন এবং তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেওয়ার পর ধ্বংস করা হয়েছে। তবে হুথিদের ছোড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন সৌদি আরবের কোন এলাকায় ধ্বংস করা হয়েছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি সৌদি জোট।

সৌদি আরব-সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। দীর্ঘ এক মাসের রমজান পালনের শেষে মুসলিমরা উৎসব উদযাপন করছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের দিনে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালানোর দাবি করল হুথি।

প্রায়ই সৌদি আরবের নানা প্রান্ত লক্ষ্য করে হুথি বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে। যদিও সৌদি জোট বলছে, তারা হুথিদের ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করছে।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে ইয়েমেনে ২ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বাস্ত্যুচুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। চলমান এই সংঘাতে ইয়েমেন চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস