ইসরায়েলের একটি বিমান ঘাঁটি, দু’টি আয়রন ডোম স্টেশন এবং একটি রাসায়নিক কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বিমান ঘাঁটিটি গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করে আসছিল ইসরায়েলি বাহিনী। 

হামলা সম্পর্কে হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাশেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা ইসরায়েলের হাতজেরিম বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছি। এই বিমানঘাঁটি থেকে ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান উড়ে গিয়ে গাজার জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। 

হামাস বলেছে, তারা নেজেভ মরুভূমির নাহাল ওজ কিবুৎজ রাসায়নিক কারখানায় আত্মঘাতী শিহাব ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে হামাস অন্য এক বিবৃতিতে জানায়, তারা কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এ ধরনের দু’টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

শুক্রবার সকালের দিকে গাজা থেকে ছোঁড়া রকেট ইসরায়েলের আশকেলন শহরের একটি ভবনে আঘাত হানে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া আশদোদ, সেদরত ও শা’আর হানেজেভ অঞ্চলে রকেট হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হয়। গত রাতে দু’পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে ২৫০টি রকেট ছুঁড়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল বলছে, শুক্রবার সকালে ১৬০টি বিমান একযোগে গাজার ওপর বোমাবর্ষণ করে। হামাসের টানেল ধ্বংস করার জন্য এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে তেলআবিব। পার্সটুডে।

এসএস