ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিরীহ জনগণের ওপর ইসরায়েল বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কাদারা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় যারা মারা গেছেন; তাদের কয়েকজনের দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিষাক্ত গ্যাসের আলামত পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেন, গাজায় হামলায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্কাই নিউজ চ্যানেলও শুক্রবার গাজার হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অনেক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা টানা ষষ্ঠ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ভোরের দিকে এই উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের আটজনই শিশু।

শুক্রবার সংঘাত ছড়িয়েছে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনের অপর অংশ পশ্চিম তীরেও। এদিন পশ্চিম তীরেও অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কয়েশ শত। ইসরায়েলি সেনাদের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার থেকে ইসরায়েলের টানা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ শিশুসহ ১৪০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

গাজায় আল-জাজিরার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিলো ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার কার্যালয়ে হুমকি দেওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

শনিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়ে মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যে ওই কার্যালয়টি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।

উপত্যকার আকাশচুম্বী ওই ভবনে আল-জাজিরা ছাড়াও মার্কিন বার্তাসংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের (এপি) কার্যালয় ছিল। আল-জাজিরার প্রতিনিধি সাফওয়াত আল-কাহলোত গাজায় গণমাধ্যমটির কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি অভিযানের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‌‘আমি গত ১১ বছর ধরে এই কার্যালয়ে কর্মরত। এই ভবনটি থেকে অনেক ঘটনার সংবাদ পরিবেশন করেছি। আমরা এখন ব্যক্তিগত পেশাদারী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু ধুলোয় মিশে গেছে।’

এসএস