আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে একটি নৌকাডুবিতে অর্ধ-শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে অন্তত ৩০ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে নিখোঁজ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি-না তা এখনও জানা যায়নি।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি বলেছেন, সোমবার তিউনিশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের স্যাক্স এলাকার কাছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। তিনি বলেন, নৌকাটি ডুবে যেতে দেখে সেখানকার স্থানীয় একটি তেলক্ষেত্রের কর্মীরা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেন।

নিখোঁজদের উদ্ধারে ও তল্লাশি অভিযান চালাতে উপকূলের ওই এলাকায় তিউনিশিয়ার নৌবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ভূ-মধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গায়াকোমো টুইটারে বলেছেন, তিউনিশিয়া উপকূল থেকে যে ৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে; তাদের সবাই বাংলাদেশের। 

রোববার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি লিবিয়ার জাওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

তবে নৌকাডুবিতে নিহতদের জাতীয়তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তিউনিশিয়ায় নিযুক্ত আইওএমের মুখপাত্র রিয়াধ কাধি বলেছেন, লিবিয়া থেকে নৌকাটি প্রায় ৯০ জনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বলে জীবিত উদ্ধারকৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন।

ইউরোপগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার যাত্রা শুরুর অন্যতম এক কেন্দ্র লিবিয়া। দারিদ্র্য অথবা সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায়ই নিজ দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্রপথ বেছে নেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

গত কয়েক মাসের মধ্যে তিউনিশিয়া উপকূলে পঞ্চমবারের মতো নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে সোমবার। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে অন্তত ১৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ডুবে যান এবং দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা টিএপি বলছে, সোমবার সকালের দিকে তিউনিশিয়া উপকূলের জারবা দ্বীপের কাছে পৃথক আরেকটি নৌকা থেকে ১১৩ জনকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বাংলাদেশ, মরক্কো এবং আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দা।

জেনেভায় আইওএমের মুখপাত্র সাফা সেহলি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবিক সহায়তা ও আশ্রয়সেবা দিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা।

সূত্র: এপি।

এসএস