ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কুয়েতের শত শত মানুষ। বুধবার (১৯ মে) রাজধানী কুয়েত সিটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় ইসরায়েলের পতাকায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি নিরীহ ফিলিস্তিদের ওপর হামলাকারী দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিরোধিতা করেন বিক্ষোভকারীরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কুয়েতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বুধবার রাজধানী কুয়েত সিটিতে একত্রিত হয়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানান শত শত বিক্ষোভকারী। অবশ্য প্রয়োজনীয় করোনা বিধিনিষেধ মেনে কেবল পায়ে হেঁটে মানুষকে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয় দেশটি।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ডেথ টু ইসরায়েল’ বা ইসরায়েলের মৃত্যু ঘোষণার স্লোগান দেন এবং ইহুদি রাষ্ট্রটির পতাকায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইনের মতো উপসাগরীয় দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি বাতিলের দাবিও জানান তারা।

ওসামা আল-জায়েদ নামে ৪৩ বছর বয়সী কুয়েতের এক রাজনৈতিক কর্মী বলেন, ‘জিসিসি (গালফ কো-অপরাশেন অর্গানাইজেন)-এর অন্তর্ভুক্ত বন্ধু দেশগুলোর প্রতি আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে, ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে কোনো লাভ হবে না। এটা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কেবল হত্যাকারীদের হাতকেই শক্তিশালী করবে।’

৩০ বছর বয়সী কুয়েতি নাগরিক জাহরা হাবিব বলছেন, ‘ফিলিস্তিন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ আমাদের অন্তরে আছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’

এছাড়া অন্য আরেকটি বিক্ষোভ থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভে কুয়েতে অবস্থানরত প্রবাসীরাও অংশ নিয়েছিলেন।

টিএম