অভ্যুত্থানের নেতা হলেন মালির প্রেসিডেন্ট
নয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। দুই দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই অভ্যুত্থানের নেতা কর্নেল আসিমি গোইতাকে মালির অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। এর আগে অভ্যুত্থানের পর গোইতা ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়বার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর বুধবার নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি।
গত বছরের আগস্টে মালিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়। অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কিয়েতা। আগস্ট অভ্যুত্থানেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কর্নেল গোইতা। স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির সাংবিধানিক আদালত এক ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের পদ ফাঁকা হওয়ায়’ সংবিধান অনুযায়ী কর্নেল গোইতাকে অন্তবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হলো।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রিসভায় এক রদবদলের পর গত সপ্তাহে তার নির্দেশেই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোক্তার উয়ানকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর বৃহস্পতিবার আটক অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কর্নেল গোইতা বলছেন, তারা উভয়ই তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও ষড়যন্ত্র করছিলেন।
মালির সাংবিধানিক আদালতের শুক্রবারের রায়ে বলেছে যে ‘ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়াটিকে সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য’ কর্নেল গোইতার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত। অবশ্য একদিন আগেই গোইতা নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
সবশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় এক রদবদল হয়। গোইতার অভিযোগ, তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো সলাপরামর্শ করা হয়নি। এই রদবদলে দুই সেনা কর্মকর্তাও মন্ত্রিত্ব হারান। তারা ছিলেন অভ্যুত্থানে কর্নেল গোইতার ঘনিষ্ট সহযোগী। রদবদলের পরপরই অন্তর্বতী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটক করে কোইতার অধীনে থাকা সেনারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে এ রদবদলের ঘটনা দেশটির গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতারা ঘানাতে এক জরুরি বৈঠকেও বসতে যাচ্ছেন। দ্য ইকোনমি কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেট (ইকোওয়াস) গত আগস্টের অভ্যুত্থানের পর মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বেসামরিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, এমন আশ্বাস পেয়ে ইকোওয়াস গত অক্টোবরে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা ফের নিষেধাজ্ঞার মুখে মালি।
এএস