যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ভারত। করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে গত দুই মাসে দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থার রুগ্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে অহরহ। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, ভারতে অক্সিজেনের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। রোববার (৩০ মে) ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, দেশে তরল মেডিকেল অক্সিজেনের উৎপাদন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। সাধারণত ভারতে ৯০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন উৎপাদন হত। এখন যা বেড়ে ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু অক্সিজেন ট্যাংকারের মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জেরও মোকাবিলা করেছে সরকার এবং লাখ লাখ মানুষের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লড়াই কঠিন। তবে ভারত বরাবর কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতে এসেছে। এবারও কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে  লড়াই করছে।’

করোনা মহামারির পাশাপাশি গত ১০ দিনের মধ্যে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে দু’টি পৃথক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও যেভাবে দেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করেছে, তার প্রশংসা করেন মোদি। পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বজন হারানো মানুষদের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।

বিপর্যস্ত ভারতে করোনা মহামারির তাণ্ডব চলছেই। রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন-সহ নানা বিধিনিষেধ জারি থাকার কারণে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারের ঘরে নেমে এলেও দৈনিক মৃত্যু এখনও রয়েছে সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি। রোববারও দেশটিতে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৬০ জন।

রোববার (৩০ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন মানুষ। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৬০ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭২ জনে।

টিএম