প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র পালাউতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সোমবার এই দেশটিতে প্রথম একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পালাউয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আক্রান্ত রোগীর বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে এবং তার মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই।

মহামারির শুরুর দিকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুরোপুরি এড়াতে সক্ষম হয়েছিল মাত্র ২১ হাজার মানুষের এই ক্ষুদে রাষ্ট্র। সীমান্ত বন্ধের নীতি পর্যটন নির্ভর পালাউয়ের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানা সত্ত্বেও দেশটির সরকার মহামারি নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছিল সেই সময়।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে একজন পর্যটক পালাউয়ে পৌঁছান। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে পালাউতে পৌঁছানোর পর প্রথমবার পরীক্ষায় ওই পর্যটকের ফল নেগেটিভ এসেছিল।

এমনকি এই দ্বীপ দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে একবার এবং সেখানে পৌঁছানোর পর দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন তার দু’বার করোনা পরীক্ষা করা হয়; তিনবারই তার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষায় দেখা যায় ওই ব্যক্তির অতীতে করোনা সংক্রমণের ইতিহাস রয়েছে এবং বর্তমানে এটি আর সংক্রামক নয়।

চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে ওই পর্যটক করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পালাউয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কথা উল্লেখ করে পালাউ কর্তৃপক্ষ ওই রোগী অথবা তার দেশের ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বিশ্বে একমাত্র তাইওয়ানের সঙ্গে সীমিত পরিসরে ট্রাভেল বাবল চালু রেখেছিল পালাউ। তাইওয়ানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় চলতি মাসের শুরুর দিকে তা বন্ধ করে দেয় দেশটি।

এসএস