দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এজন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের নিয়মনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। মূলত কিমের অধীনে এক জন ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ অর্থাৎ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার পদ তৈরিই এর উদ্দেশ্য। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বলে জানাচ্ছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়ার রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে নতুন করে তৈরি করা এই পদের নাম হবে ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি’। কিমের পক্ষে তিনি বিভিন্ন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।  

গত জানুয়ারিতে ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার (ডব্লিউপিকে) কংগ্রেসে কিম তার ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করেন। তখন তিনি জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তারা বাবা দ্বিতীয় কিম জং দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে ২০১২-২০১৬ সাল পর্যন্ত কিম জং উনও ক্ষমতাসীন দলটির ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন। জানুয়ারিতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন তিনি।

ইয়োনহাপ লিখেছে, ‌‘এখন কিম সরকারে তার দলের আরও ভূমিকার বিষয়ে মনযোগী হয়েছেন। যা তার বাবার শাসনামলের আরও বেশি সামরিকায়িত সরকারের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। দ্বিতীয় কিম জং এর আমলে যে ‘মিলিটারি ফার্স্ট পলিটিক্স’ শব্দবন্ধ ছিল, কিমের সংস্কারের পর দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে সেই শব্দবন্ধটি বাদ দেওয়া হয়েছে।’ ফলে ক্ষমতার কেন্দ্রে সামরিক বাহিনীর বদলে এখন দলীয় প্রভাব বাড়বে।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার যে সাতজন সেক্রেটারি রয়েছেন নতুন এই পদটি হবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদটি পেতে যাচ্ছেন জো ইয়ং ওন। দেশটিতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট শীর্ষ নীতি নির্ধারকদের যে পলিট ব্যুরো রয়েছে তিনি তার সদস্য। জো ইয়ংকে কিম জং উনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এএস