করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে ৫৯৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমডি)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে।

বুধবার (২ জুন) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনায় চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক। রাজ্যগুলো হলো বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড।

আইএমডি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১০৭ জন চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিহার। রাজ্যটিতে ৯৬ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জন, রাজস্থানে ৪৩ জন এবং ঝাড়খণ্ডে ৩৯ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। 

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশটিতে ১২ লাখের বেশি চিকিৎসক থাকলেও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কাছে থাকা সাড়ে ৩ লাখ চিকিৎসকের রেকর্ড যাচাই করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাস্তবে চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে দাবি করেছে তারা।

এদিকে বুধবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৮ জন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিত রোগী বেড়েছে ৫ হাজারের বেশি। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ২০৭ জন।

দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় ভারতে প্রতিদিনই কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। মাসখানেক আগেও দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখেরও বেশি। গত প্রায় তিন সপ্তাহে কমতে কমতে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১৮ লাখের নিচে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে প্রায় ১ লাখের বেশি। ফলে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৫ জন।

জেডএস