আগামী ১৪ জুন থেকে মিয়ানমারের আদালতে দেশটির  কারাঅন্তরীণ গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিচার শুরু হচ্ছে। সু চির আইনজীবী মিন মিন সোয়ে ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপিকে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

মিয়ানামারের রাজধানী নেইপিদোতে গৃহবন্দি সু চির সঙ্গে এ দিন সাক্ষাৎ করেছেন মিন মিন সোয়ে। সাক্ষাৎ শেষে সু চির বিচার শুরুর তারিখ জানিয়ে এএফপিকে সোয়ে বলেন, ‘আশা করছি ওই দিনই (১৪ জুন) মামলার বাদিপক্ষ তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণ ও সাক্ষীদের হাজির করবে।’

‘তিনি (সু চি) মিয়ানমারের জনগণের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।’

অবৈধ ওয়াকি টকি রাখা, ঘুষ গ্রহণ, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা। সেগুলোর মধ্যে কোনটির বিচারকাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিন মিন সোয়ে।

২০২০ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

ক্ষমতা দখলের পরপরই বন্দি করা হয় অং সান সুচিসহ তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)-এর বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার।

এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে করা মামলাটি বেশ গুরুতর বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, এই মামলায় অপরাধী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের সাজা হতে পারে সু চির।

সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই সু চি ও তার দল এনএলডির গ্রেফতার সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আন্দোলন; এবং কঠোর হাতে সেই আন্দোলন দমনে তৎপর হয় জান্তা। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বলছে, সেনা শাসনবিরোধী এই বিক্ষোভে জান্তার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ ছাড়া সাড়ে ৪ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী বর্তমানে কারাঅন্তরীণ আছেন।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ