জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিনামুল্যে দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য অনুমোদন পাওয়া তিনটি টিকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সরকার ঘোষণা দিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কোভিশিল্ড ৭৮০, কোভ্যাক্সিন ১৪১০ ও স্পুটনিক টিকার সর্বোচ্চ দাম হবে ১১৪৫ রুপি। এই দামের মধ্যে ১৫০ টাকা সরকারি পরিষেবাসহ ও অন্যান্য কর হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট দামের থেকে বেশি দাম যেন বেসরকারি হাসপাতালগুলো না নেয় সে দিকে নজর দিতে। কোনও হাসপাতাল বেশি দাম নিলে তার বিরুদ্ধে মহামারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রবল সমালোচনার মুখে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৮ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ২১ জুন থেকে এই লক্ষ্যে সব রাজ্য সরকারকে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হবে। 

মোদি বলেন, বাকি ২৫ শতাংশ টিকা থাকবে তাদের জন্য, যারা অর্থ খরচে প্রস্তুত। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সেই টিকা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দামও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। টিকার দামের ওপর বেসরকারি হাসপাতাল দেড় শ রুপি সার্ভিস চার্জ হিসেবে নিতে পারবে।

ভারতের টিকা নীতি বেশ প্রবল সমালোচিত। সর্বোচ্চ আদালতও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে মামলাও করেছেন। কেন ৪৫ বছরের বেশি বয়স্ক নাগরিকদের টিকা দেওয়া দায় নিজের হাতে রেখে কেন্দ্র বাকি দায়িত্ব রাজ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশসহ বহু মধ্যমানের দেশেও টিকাকরণের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। বিনামূল্যে তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও টিকাকরণ ‘ফ্রি’। এই অবস্থায় ভারতে বিভিন্ন টিকার বিভিন্ন দাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এএস