যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউরোপ সফরের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরা তাদের যাত্রার শুরুতেই বিচিত্র ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন। উচ্চিংড়ে বা ঘুরঘুরে পোকার কারণে তাদের চার্টার প্লেন ওয়াশিংটন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জো বাইডেনের ইউরোপ সফরের সংবাদ সংগ্রহ করতে হোয়াইট হাউসের একদল সাংবাদিক একটি উড়োজাহাজ ভাড়া করেছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে সেই উড়োজাহাজটির ওয়াশিংটন ত্যাগ করার কথা ছিল।

কিন্তু ফ্লাইট ছাড়ার আগে সেখানে দেখা যায়, ইঞ্জিনসহ পুরো বিমানে গিজগিজ করছে উচ্চিংড়ে বা ঘুরঘুরে পোকা। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর আর একটি উড়োজাহাজ এসে উদ্ধার করেন তাদের। অবশেষে রাত সোয়া ২ টার দিকে ইউরোপের দিকে রওনা হন তারা।

নিউইয়র্ক টাইমস অবশ্য তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বিমানে পোকার উপদ্রবের বিষয়টি হোয়াইট হাউসে জানানো হলে সেখান থেকেই নতুন বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। এক বার্তায় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তারা আশা করছে, নিরাপদেই ইউরোপে পৌছাবেন সাংবাদিকরা।

প্রতি ১৭ বছর পর পর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে ঘুরঘুরে পোকাদের সংখ্যা বিপজ্জনক হারে বেড়ে যায়। চলতি বছর মে থেকে এই পোকার বিপুল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে দেশটিতে। কোটি কোটি উড়ন্ত পোকার কারণে আবহাওয়ার রেডারেও আকাশে ধরা পড়ছে ‘পোকার মেঘ’।

প্রখর গ্রীষ্ম এই পোকাদের বংশ বিস্তারের উপযুক্ত সময়। এরা পাখায় ঘর্ষণের মাধ্যমে জোড়ালো শব্দ তৈরি করতে পারে। যে কারণে ঝিঁঝিঁ পোকার সঙ্গেও এর খানিকটা মিল পাওয়া যায়।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরুতে ঘুরঘুরে পোকাদের এবারের বিস্তার থিতিয়ে আসবে। ১৭ বছর পর ২০৩৮ সালে আবারও এসব পোকার প্রজনন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।

এদিকে, অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর অনেকই নেটিজেনদের অনেকে এই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন, অনেকে আবার জানিয়েছেন বিদ্রুপ।

একজন লিখেছেন, ‘পোকাগুলোকে কি ছিনতাইকারী ভাবা হচ্ছে? এফবিআই কি উড়োজাহাজটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে?’

আরেকজন টুইটে জানতে চেয়েছেন, ‘উচ্চিংড়েদের দাবি কী?’

একজন টুইটে লিখেছেন, ‘আমি দেশপ্রেমিক ঘুরঘুরে পোকাগুলোর এই দারুণ কাজের প্রশংসা করছি।’

সূত্র: সিএনএন

এসএমডব্লিউ