ইউক্রেনে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটির নিজেদের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়াই এই পদক্ষেপের কারণ।

ইউক্রেনজুড়ে সম্প্রতি রাশিয়া হামলা আরও জোরদার করেছে। আর এর মধ্যেই দেশটিতে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ইউক্রেনকে কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মারণাস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে, কারণ এসব অস্ত্রের নিজস্ব মজুত উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে প্রতিশ্রুত অস্ত্রের কিছু চালান সরবরাহে সম্প্রতি ধীরগতি নেমেমম এসেছে বা থেমে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যবহৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ইন্টারসেপ্টরও রয়েছে।

পেন্টাগনের এক ই-মেইল বার্তায় বলা হয়েছে, এমন অবস্থায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিভিন্ন বিকল্প দেওয়া হচ্ছে, যাতে ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়া যায় — সেইসঙ্গে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যও বজায় রাখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি বলেন, “আমরা যেমন ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে চাই, তেমনই আমাদের নিজেদের বাহিনীর প্রস্তুতিও ধরে রাখতে চাই। সেই হিসেবে নীতিগত লক্ষ্য ও সরবরাহ কৌশল নিয়ে গভীর পর্যালোচনা চলছে।”

বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে আরও কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে। এছাড়া পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি জুড়ে বিমান হামলাও বাড়িয়েছে মস্কো।

রয়টার্স বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবার এবং মার্চে দীর্ঘ সময়ের জন্য সব ধরনের অস্ত্র সহায়তা বন্ধ ছিল। পরে ট্রাম্প প্রশাসন আবার বাইডেনের আমলে অনুমোদিত সাহায্যের শেষ ধাপ চালু করে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোনও নীতিগত ঘোষণা আসেনি।

টিএম