গ্রেপ্তার রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
‘ভোট চোর, গদি চোর’ স্লোগানে উত্তাল দিল্লি, অজ্ঞান ২ এমপি
ভোটে কারচুপির অভিযোগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের অভিমুখে বিরোধীদলীয় প্রায় ৩০০ এমপির বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কয়েকজন বিরোধী দলীয় এমপিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত দু’জন এমপি চেতনা হারিয়ে পড়ে যান। পরে রাহুল গান্ধীসহ অন্যান্য এমপিরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন এবং গাড়িতে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেন।
বিজ্ঞাপন
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সংসদ ভবন এলাকা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অভিমুখী বিক্ষোভ মিছিল মাঝপথে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিরোধী দলীয় এমপি ও এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবসহ কয়েকজন পুলিশের ব্যারিকেড টপকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
— ANI (@ANI) August 11, 2025
সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভোট চোর, গদি চোর-সহ’ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও অবস্থান ধর্মঘটের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই এমপি মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এমপিরা পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরে মিতালি বাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
দিল্লিতে এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কয়েকজন এমপিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলটির অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
— ANI (@ANI) August 11, 2025
ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, মিছিলটি সংসদ ভবনের কাছ থেকে শুরু হয়ে নির্বাচন কমিশনের সদরদপ্তর ‘নির্বাচন সদন’র দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘এসআইআর: গণতান্ত্রিক অধিকার চুরি’ এবং ‘ভোট চুরি’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হলে এমপিরা রাস্তায় বসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
গ্রেপ্তারের পর রাহুল গান্ধী বলেন, এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, সংবিধান রক্ষার জন্য। তিনি বলেন, সত্য পুরো দেশের সামনে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, জনগণের ভোটাধিকারের সুরক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার চুরির বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিজেপির কাপুরুষোচিত একনায়কতন্ত্র আর চলবে না!
এসএস