ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলছেন, এই নির্বাচনে তিনি যদি জেতেন আর যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ইরানের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পান, তবে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী হবেন। 

এপির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান আব্দুল নাসের হেম্মাতি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা কমানোর অন্যতম প্রধান একটি হাতিয়ার হতে পারে ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরা। 

হেম্মাতি বলছেন, আমি মনে করি, আমরা এখনও জো বাইডেনের দিক থেকে খুব খারাপ কিছু দেখিনি। যুক্তরাষ্ট্র যে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল প্রথমে তাদের ওই চুক্তিতে ফিরতে হবে। আমরা যদি সেটা শুরুর প্রক্রিয়া দেখি, তবে এখানে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আরও শক্ত হবে, তখন আমরা কথাও বলতে পারবো। 

ইরানে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে যে সাতজনকে লড়তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৬৪ বছর বয়সী হেম্মাতি তাদের একজন। বিশ্লেষকরা এ রকম আভাস দিয়েছেন যে, সে দেশের বিচার বিভাগের কট্টরপন্থি প্রধান এব্রাহিম রাইসির তুলনায় হেম্মাতি পিছিয়ে আছেন। রাইসিকে সমর্থন দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি।

এপির সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হেম্মাতি বারবারই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার একটা ইঙ্গিতের অপেক্ষায় ছিলেন ইরানিরা।  

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক কিছু ইঙ্গিত দিয়েছে তবে সেগুলো মোটেও জোরালো কিছু ছিল না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে জোরালো ইঙ্গিত পেলে বোঝা যাবে আমরা কতটা আশাবাদী, আর কতটা না। 

ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে, ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি বাতিলের শর্তে যদি ওইসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় ইরান তাহলে তা মেনে নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেম্মাতি বলেন, ইরান কখনোই এমন প্রস্তাব মেনে নেবে না। 

তিনি আরও বলেন, চুক্তিতে যা আছে এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর বাইরে গেলে সর্বোচ্চ নেতাও তা মানবেন না, প্রেসিডেন্টও মানবেন না। 

১৮ জুনের এই নির্বাচনে কী ফল হবে তা আগেই নির্ধারিত বলে মনে করেন অনেকে।   

আব্দুল নাসের হেম্মাতি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কিন্তু মধ্যপন্থি এবং সংস্কারবাদী ভোটারদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন তিনি।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ও আরব নিউজ। 

এনএফ