ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে লুক্সেমবার্গ। তবে এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল নয় বরং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ডের কারণেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে লুক্সেমবার্গ।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

সোমবার সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাইডেন বলেন, “আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না; আমরা নেতানিয়াহুর সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, কারণ সেসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি।”

লুক্সেমবার্গ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক এই ঘোষণার আগে সিএনএন-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে ফ্রাইডেন বলেন, “আমরা চাই দুটি দেশ ও দুটি জনগোষ্ঠী পাশাপাশি শান্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গে বসবাস করুক।”

ফ্রাইডেন বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য ভবিষ্যতের আশা জাগাতে হবে এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তার মতে, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ। তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নতুন প্রচেষ্টা শান্তিপূর্ণ ইসরায়েল ও শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনকে পাশাপাশি দাঁড় করাতে পারে।”

ফ্রাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি না হলে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা অব্যাহতভাবে বাধাগ্রস্ত হলে ইউরোপ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিতে পারে।

এর আগে গত রোববার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে আরও কয়েকটি দেশ একই ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

টিএম