মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে সেনা সদস্য ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি-মিসাইল ব্যাটারি’ তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, কুয়েত, জর্ডান এবং সৌদি আরবে মোতায়েন করা আটটি প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি মিসাইল ব্যাটারি ইউনিট তুলে নিচ্ছে পেন্টাগন। এছাড়া সৌদি আরবকে উপহার হিসেবে ‘থাড’ নামে একটি মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি মিসাইল ব্যাটারির প্রতিটি ইউনিট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে শতাধিক সেনা সদস্য ও বেসামরিক কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে অল্প দিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশ থেকে হাজারেরও মার্কিন সেনা ও বেসামরিক কর্মীবাহিনী প্রত্যাহার করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ক আলোচনায় অগ্রগতি এবং চীন ও এশিয়া-প্যাসিফিক এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশানসন। তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ।

 পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা ম্যাকনাল্টি এই ইমেইলে ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তানীতির সঙ্গে এই পদক্ষেপ সঙ্গতিপূর্ণ হবে বলে বিবেচনা করছে পেন্টাগন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। সেই অনুযায়ী আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। তবে ভবিষ্যতে যদি মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন হুমকি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে ফের সেখানে সেনা মোতায়েন করা হবে।’

ইমেইল বার্তায় জেসিকা ম্যাকনাল্টি জানান, মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া মার্কিন সেনাদের একটি অংশকে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে বদলি করা হবে। বাকিরা দেশের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বাহিনী কমাণ্ডের অধীন থাকবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছুটা রদবদল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে ইরাক থেকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ